জামালপুর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বিত সভা
মো: খোরশেদ আলম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামালপুর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১১.১২.২০২৪ ইং তারিখ রোজ বুধবার বেলা ২.০০ ঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সিনিয়র সহকারি জজ মোহাম্মদ আল মামুন।
আলোচনা সভায় জামালপুর জেলার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: রোকোনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: শাহাদাৎ হোসেন।
উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চানালয়ে ছিলেন সিডিডি জামালপুর ‘একতা’ প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার জনাব, কৃষ্ণকান্ত রায়। তিনি উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে বিষদ ভাবে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় জামালপুর জেলার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন আমরা আমাদের বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আসন সংরক্ষণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে স্ট্যাফদের প্রতিবন্ধী বান্ধব আচরন এবং তাদের সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য সকল উপজেলায় জানিয়ে দেয়ার প্রতিস্রুতি দেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলার সুযোগ্য সমাজ সেবা অফিসার মো: শাহাদৎ হোসেন, উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা: সানজিদা হোসেন প্রাপ্তি, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ইসরাকী ফাতেমা, সূর্য তোরন সমাজ সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম, জামালপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জামালপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: সাখাওয়াত হোসেন শুভ, ৩ নং লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জামালপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সিনিয়র সহকারি জজ মোহাম্মদ আল মামুন প্রতিবন্ধিদের পাশাপাশি সর্বস্তরের আর্থীকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীরদেরকে লিগ্যালী কাজে আইনী সহায়তা দেয়ার জন্য সবসময় তার দরজা খোলা আছে এবং থাকবে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়াও আলোচনা সভায় বলেন তিনি বিগত দুই বছরে অসহায় বিচার প্রার্থীদের লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ১৫৯ মামলা ও চার কোটি টাকা আদায় করে দিয়েছেন বলেও জানান।