জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জামালপুর জেলা শাখা’র কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরী সভা-

মোঃ খোরশেদ আলম
ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান।

অদ্য ২৭.১১.২০২৩ ইং তারিখ রোজ সোমবার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জেলা শাখা’র কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দ প্রমুখ।

উক্ত জরুরী সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন যে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টি আসন লাভ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেন।

পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে মোঃ আবুল কালাম আজাদ কে নিয়োগ দেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থাকাকালে ২০১০ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের (পিপিইডি) কো-চেয়ার ছিলেন। মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই) গঠনের সময় এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সেখানে তিনি জাপানি বিনিয়োগে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে এমআইডিআইয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে বড় ভূমিকা রাখেন।

এক যুগ আগেও দেশের বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হতো উৎপাদন সক্ষমতাকে। বর্তমানে এ সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াটে, যা চাহিদার দ্বিগুণ। এ এক যুগের ব্যবধানে দেশের বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতায় বড় উল্লম্ফনের পেছনের অন্যতম কারিগর বলা হয় মোঃ আবুল কালাম আজাদকে, জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে অপরিসীম অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাপান সরকার কর্তৃক জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদক ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টার’ লাভ করেন !

পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসাবে কাজ করে। অবসর এর পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়া হয় তাকে সেখানেও তিনি সফলতার সাথে কাজ করে গেছেন
এছাড়াও পরবর্তীতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ।

আজ জামালপুর এর এত এত উন্নয়নের পিছনের কারিগর ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।

তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই জামালপুর সদর-৫ আসন এর এম পি প্রার্থী হয়েছেন। সবার প্রতি একটা অনুরোধ থাকবে কারো সম্পর্কে না জেনে না শুনে কাদা ছড়া-ছড়ি করবেন না। আবুল কালাম আজাদ জামালপুর এর এমপি হলে সর্ব কালের সেরা এম পি হবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন জামালপুর সদর- ৫ আসন এর চিত্র তার হাত ধরেই পালটাবে ইনশাআল্লাহ।