পুলিশ সদস্য তো প্রানহীন নয় মানুষ বটে,এমন নির্মম মৃত্যু কাম্য নয়
লাইভ নিউজ বিডি২৪ ডেক্স-
দিনটি ২৮ অক্টোবর শনিবার জ্বরে গেলো এক পুলিশ সদস্যের প্রান, কে জান তো হয় তো এটাই তার শেষ দিন, পুলিশ সদস্য তার নিজেরও জিবন আছে মা আছে বাবা আছে স্ত্রী সন্তান সবাই পথ চেয়ে বাসায় ফিরবে বাবা সন্তান রা অপেক্ষায় সেই ফিরলেন লাশ হয়ে..
পুলিশের যে সদস্য বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার স্ত্রী আর সন্তানকে বলে এসেছিলেন তোমরা থাকো আমি ডিউটি শেষ করে আসবো, যে মা আশায় বসে আছেন তার সন্তান পুলিশের চাকরি করছে একদিন বাসায় ফিরে আমাকে মা মা বলে ডাকবে আমার জন্য কত জিনিসই না নিয়ে আসবে, যে বাবা অনেক আশায় তার ছেলেকে চাকরিতে পাঠিয়েছেন তিনি আশায় বসে আছেন বেতন পেয়ে তার ছেলে তাকে কিছু টাকা পাঠাবেন তার সংসার চালাতে তিনি একটু স্বস্তি পাবেন, যে ভাই তার পুলিশ ভাইয়ের জন্য বসে আছে সে আর তার ভাইয়ের মুখে ভাই ডাক শুনতে পাবে না, তিনি আর পৃথিবীতে নেই তাই তিনি আর ঘরে ফিরবেন না তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে সড়কে পড়ে আছেন৷ যারা পুলিশকে টার্গেট করে এমন নেককার জন্য ঘটনা ঘটায় তারা কি পারবে একটি প্রাণ ফিরিয়ে দিতে তারা কি পারবে যে মায়ের কোলে তিনি জন্মেছেন সে মায়ের কোলে তাকে ফিরিয়ে দিতে৷ রুটি রুজির প্রশ্নে আপনার মতই একজন মানুষ থেকে একজন পুলিশের চাকরি কে বেছে নেয়, তারপর থেকে শ্রেণীবিভাজন শুরু৷ পুলিশ আর মানুষ যেন দুই গ্রহের প্রাণী৷ একজন পুলিশের সরকারি দায়িত্ব পালন চাকরির অংশ৷ দায়িত্ব পালন না করলে তার বেতন রেশন পাবার হক থাকে না৷ এসব জানা সত্ত্বেও পুলিশকে প্রতিপক্ষ প্রতিপন্ন করে তাকে টার্গেট করে জিঘাংসা-চরিতার্থ করার এ সংস্কৃতি আপনার মনের মধ্যে পুশে রেখেছেন৷ তারপর একের পর এক তা ঘটে চলেছে৷ যে মানুষটিকে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখলেন ভাবলেন না সেও এক মায়ের সন্তান এক বাবার ছেলে এক স্ত্রীর স্বামী এক মেয়ের বাবা এক ভাইয়ের ভাই৷ এই পুলিশই বিপদে আপদে আপনার পাশে থাকতে আপনার জান মাল রক্ষার জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে, অথচ এই পুলিশকে শত্রু প্রতিপন্ন করে আপনি যে কাজ ঘটালেন তাতে আপনার বিবেক আপনাকে কি দংশন করছে না? বিবেকের আদালতে আপনাকে এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে৷ আপনাকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে৷